| |
               

মূল পাতা জাতীয় সব জাতির ইসরাইলকে বয়কট করার সময় এসেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সব জাতির ইসরাইলকে বয়কট করার সময় এসেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 November, 2023     08:56 AM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, সব জাতি ও ধর্মের মানুষ বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এবং সম্মান ও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন মানুষদের ইসরাইল ও সেদেশের পণ্য বয়কট করার সময় এসেছে। এই হত্যাকান্ড অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং চিরতরে বন্ধ করতে হবে। 

শনিবার (১১ নভেম্বর) রিয়াদে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ আরব-ইসলামিক বিশেষ শীর্ষ অষ্টম বিশেষ ইসলামিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজার পরিস্থিতি শুধুমাত্র জাতিগত নির্মূলের একটি উদাহরণ নয়, বরং এটি মুক্ত বিশ্বের নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার, মানবিক আইন এবং সমস্ত নীতি ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তাদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় শক্তির দ্বারা পরিচালিত একটি গণহত্যা। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলের নেতৃত্বকে জবাবদিহি করতে হবে, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং বর্বতার মাধ্যমে এলাকা খালি করার মাধ্যমে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।এই ধরনের কর্মকাণ্ডের শাস্তি হওয়া দরকার যাতে চিরতরে গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান হয় এবং সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে যাতে জনগণ তাদের নিজের দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ মোটেও যুদ্ধ নয়। এটা আসলে বর্বরোচিত ও সামষ্টিক শাস্তি এবং অবরুদ্ধ নিরপরাধ নারী-পুরুষ, বিশেষ করে অ-যোদ্ধা শিশুদের হত্যাকান্ড যারা লড়াই করতে পারে না। বাংলাদেশ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে এবং এর পক্ষে দৃঢ়ভাবে পাশে দাড়ায়। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।   এ যুদ্ধ নগর ও শহর, একটি জাতির আশা-আকাক্সক্ষা এবং একটি দখলকৃত জনগণকে তাদের অধিকার যেমন - খাদ্য, বাসস্থান, পানি, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং অবশ্যই একটি সুষ্ঠ জীবন যাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।

তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অব্যাহত, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখা দরকার। জাতিসংঘে আমাদের সম্মত সব সিদ্ধান্ত, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি উদ্যোগ এবং রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা উচিত। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি সুস্পষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত। এ সঙ্কটের অবসানের জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য গড়ে তালো জরুরী।